Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পটভূমি

শ্রম নিবিড় পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দেশের সম্ভবনাময় এই শিল্প শুধু অর্থনীতির চাকাকেই সচল রাখেনি পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষকে দিয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। পোশাক তৈরির কাঁচামাল হিসেবে সুতা উৎপাদন হতে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। প্রযুক্তিগতভাবে সুতা থেকে কাপড় বানানোর পর থেকে পোশাক তৈরি করাই হল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মেধা ও মননশীলতার সমন্বয়ে তৈরিকৃত পোশাক আন্তর্জাতিক বাজারে 'Made in Bangladesh' নামে একটি অনন্য ব্রান্ডের সৃষ্টি করেছে। এক ঝাক মেধাবী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে গড়া এ শিল্প। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য এদেশের পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবী বস্ত্র প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

বরিশালের প্রবেশদ্বার খ্যাত গৌরনদী উপজেলা থেকে মাত্র ২ কি.মি. অদূরে ৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, গৌরনদী, বরিশাল। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের ছোঁয়ায় ক্যাম্পাসটি পেয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্য।

১ আগস্ট, ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে এসএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়েদের ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে পারে। এই ইনস্টিটিউট টি বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক শিক্ষাক্রম পরিচালিত। 

২০১৮-১৯ সেশনে ডিপ্লোমা-ইন-টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সর্বপ্রথম ১০৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চারটি ব্যাচে ৫২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে।

বর্তমানে এখানে চারটি বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে:

1.ওয়েট প্রসেসিং (Wet Processing) 

2.ফ্যাশন ডিজাইন (Fashion Design)  

3.অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং (Apparel Manufacturing) 

4. মার্চেন্ডাইজিং এন্ড মার্কেটিং (Merchandising & Marketing)

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের টিকে থাকতে হলে বস্ত্র শিল্পের মান উন্নয়ন, বৈচিত্রতা আনয়ন ও সর্বোপরি গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, গৌরনদী, বরিশাল এর ডিপ্লোমা টেক্সটাইল প্রকৌশলীগণ যাতে তাদের বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়ে যুগোপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে দেশের বস্ত্রশিল্পকে একটি শক্ত কাঠামোর উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।